বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এলজিইডির মাধ্যমে কাতিহার হইতে চোপড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণ কাজের ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে। বকসকাটিংয়ে ১০ ইঞ্চি বালু থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে মাটি। সাব বেচে ৬ ইঞ্চি বালু ও খোয়া দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে নামে মাত্র খোয়া। এরপর ৯০ভাগ পাথর ও ১০ভাগ বালি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে বালির পরিমান বেশি দিয়ে উপরে পাথর দিয়ে কার্পেটিং এর কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশী বিটুমিন না দিয়ে ইরানী বিটুমিন দিয়ে কাজ চলছে। এলসি ভাংগা পাথর না দিয়ে গোল পাথর বেশি ভাগ লক্ষ করা গেছে ফলে রাস্তায় মোটরসাইকেল আরোহীদের ঝাকুনী খেতে হচ্ছে।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় মকলেসুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্থায় কোন ঠিকাদার আমরা দেখতে পাইনী সিদ্দিক নামে একজন লোক মাঝে মধ্যেএসে কাজটি দেখাশুনা করছে। কার্পেটিং এর সময় রোলার মেশিনে কোন পানি দেওয়া হচ্ছে না। প্রাইম কোটে কেরোচিনের পরিমান নামে মাত্র দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ করছে। তাছাড়া রাস্তার কাজটি পেয়েছে ঠাকুরগাঁও গুদরি বাজার এলাকার রাম বাবু ঠিকাদার, তিনি কাজটি লভ্যাংশ নিয়ে সিদ্দিক মিস্ত্রির কাছে বিক্রি করেছে। তিনি আবার সে কাজ করে লাভ করবে তাছাড়া অফিস খরচতো আছেই।
এ প্রসঙ্গে সিদ্দিক এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি সে কাজটি নিয়েছেন অন্য জনের কাছে সে মতাবেক লেবার পরিশোধ করছেন। কাজের গুনগত মান প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আরো বলেন সংবাদ করে কি লাভ। পারত পক্ষে আপনি আমার সাথে দেখা করেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, অনিয়মের বিষয়টি আগে বললে খতিয়ে দেখা যেতো তাছাড়া আমার কাছে তো ভালই মনে হচ্ছে। অনিয়মের বিষয়ে ঠাকুরগাঁও নির্বাহি প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্ম্মনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কাতিহার রাস্তার কাজে সুপারভিশনে গেলে আপনাকে ডেকে নেওয়া হবে। অনিয়ম হলে বিল পরিশোধ করা হবে না এবং কি জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাছাড়া সে রাস্তায় কনসালটেন নিয়োগ দেওয়া আছে।